রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর খানখানাপুর ফৈজুদ্দিন মাতবরপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছে নবম শ্রেণির ছাত্রী(১৬)।
প্রেমিক একই গ্রামের শফিক মণ্ডলের ছেলে সুমন মণ্ডল (২৩)।
বুধবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত থেকে অনশনে বসে ওই স্কুলছাত্রী। অভিযুক্ত সুমন মণ্ডল ও তার বাবা শফিক মণ্ডল স্থানীয় খানখানাপুর বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সুমন মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়ির বারান্দায় বসে আছে হামিদা। তবে সুমনের বাড়িতে কেউ নেই। ঘরের দরজা তালাবদ্ধ।
এসময় ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ‘তিন বছর আগে প্রতিবেশী সুমন মণ্ডলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তাদের দুজনেরই পরিবার থেকে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বুধবার (১৯ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে হামিদার চাচাতো ভাই আলমাসের ঘরে দুজন দেখা করে। সেখানে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলে। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় সুমন। এরপর রাতেই সুমনের বাড়িতে এসে অনশনে বসে সে।
সে আরও বলে, ‘সুমন যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে ওর বিরুদ্ধে আমি ধর্ষণ মামলা করবো। এমনকি আমি আত্মহত্যাও করতে পারি।’
স্কুলছাত্রীর বাবা ও মা বলেন, ‘আমাদের মেয়ের সর্বনাশ যা হবার তা হয়ে গেছে। আমরা চাই সুমন আমাদের মেয়েকে বিয়ে করুক। নাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।’
এদিকে, অভিযুক্ত সুমন ও তার পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সুমনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে খানখানাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, ‘রাতেই ওই স্কুলছাত্রীর অনশনের খবর পেয়ে সেখানে অফিসার ও ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। স্কুলছাত্রী ও তার বাবা-মাকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।’
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’